গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলাধীন সাঘাটা উপজেলার ৯নং কামালের পাড়া ইউনিয়ন এর পাঁচ পুর, ফলিয়া দিগর গ্রামে দুই ভাই এর মধ্যে বসতভিটা বাড়ীর গাছ বিক্রি ও তাহা কাটা নিয়ে ৩ জন আহত হাসপাতালে ভর্তি। ভেলু মিয়া আকন্দ বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে সাঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এনিয়ে ভেলু মিয়া আকন্দ জানান আসামী ফজল হক আকন্দ শরিফ উদ্দিন, মোঃ মুন্নু মিয়া, আবু সাঈদ সকলের পিতা-মোঃ ফজল হক আকন্দসহ আফরুজা বেগম সর্ব সাং-পাঁচপুর (ফলিয়া দিগর), অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে , আসামীগন দাঙ্গাবাজ ও পরসম্পদ লোভী প্রকার লোক। উল্লেখিত আসামীগন আমার নিকটতম ভাগী শরিক হওয়ায় আমার গাছপালা লাগানো ভিটা জমিতে আসামীদেরকে ঘর-বাড়ী করে থাকার জন্য জায়গা দেই। এমতাঅবস্হায় উল্লেখিত আসামীগন আমার উক্ত জমিতে থাকা আমার লাগানো গাছ নিজেদের বলিয়া বিক্রি করিলে।আসামীদের সহিত আমার দ্বন্দ কলোহ ও বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই জের ধরিয়া আজ দুপুর অনুমান ১ ঘটিকার সময় ২ ও ৩নং আসামীদ্বয় আমাকে মারপিট, খুন জখমের একই উদ্দেশ্যে আমার বসতবাড়ীর ভিতর উঠান হইতে কৌশলে তাদের বসতবাড়ীর বাহির উঠানে ডেকে নিয়ে ১নং আসামীর হুকুমে, ১নং আসামী সহ সকল আসামীগন বেআইনী জনতায় দলবদ্ধে লাঠি সোটা ও লোহার রড ইত্যাদি দ্বারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারী ভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেলা ফোলা ও বেদনা দায়ক কালশিরা জখম করে। এরই এক পর্যায়ে ২নং আসামী তার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া সজোরে আঘাত করে। উক্ত আঘাত আমার বাম চোখের উপরি ভাগে লাগিয়া ফাঁটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমি আত্মচিৎকার করিতে থাকিলে, ১নং আসামী তার দুই হাতের আঙ্গুল দ্বারা আমার গলা চিপে ধরে আমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আমার আত্মচিৎকার শুনিয়া আমার স্ত্রী মোছাঃ মোজেদা বেগম ও আমার পুত্রবধূ মোছাঃ আঞ্জুয়ারা বেগম আগাইয়া আসিয়া আমাকে আসামীদের কবল হইতে প্রানে রক্ষা করিলেও আসামীগন ক্ষিপ্ত হইয়া আমার স্ত্রী ও পুত্রবধূকে এলোপাতারী ভাবে মারপিট করিয়া তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেলা ফোলা এবং বেদনা দায়ক কালশিরা জখম করে। ৩নং আসামী তার হাতে থাকা লোহার সাবল দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পুত্রবধূ আঞ্জুয়ারা বেগমের মাথা লক্ষ্য করিয়া সজোরে আঘাত করে। উক্ত আঘাত আমার পুত্রবধূর বাম চোখের উপরি ভাগে কপালে লাগিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ২নং আসামী আমার পুত্রবধূ আঞ্জুয়ারা বেগমের পড়নের কাপড় ধরিয়া টানা হেচড়া করিয়া তার লজ্জা শ্লীলতানী ঘটায়। সেই সুযোগে ৪নং আসামী আমার পুত্রবধূ আঞ্জুয়ারা বেগমের গলায় থাকা ০৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন মালা, মূল্য অনুমান-৬০,০০০/-টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে টান দিয়া ছিড়িয়া নেয়। আমার স্ত্রী, আমার পুত্রবধূকে রক্ষার চেষ্টা করিলে, ১নং আসামী তার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্ত্রীর মাথা লক্ষ্য করিয়া সজোরে আঘাত করে। উক্ত আঘাত আমার স্ত্রীর কপালের মাঝামাঝি ¯’ানে লাগিয়া ফাটা গুরুতর জখম হয়। আমাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন সহ আমার পরিবারের অন্যান্য লোকজন আগাইয়া আসিয়া আসামীদের কবল হইতে আমাদেরকে রক্ষা করিলেও আসামীগন আমাদের বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি প্রদর্শন সহ প্রান নাশের হুমকী দিয়া বাড়ীর ভিতরে চলিয়া যায়। পরে আমি ও আমার জখমী স্ত্রী এবং পুত্রবধূ উপস্থিত লোকজনদের সহযোগীতায় অচেনা অটোভ্যান যোগে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসিয়া চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই। উক্ত ঘটনার বিষয়ে সাক্ষী ১. মোঃ কামাল পাশা, পিতা-মৃত গোলজার রহমান ২. মোঃ মোস্তফা কামাল, পিতা-মোঃ মোজাম্মেল বেপারী ৩. মোঃ মনিরুল ইসলাম, পিতা-মোঃ মোমিন মিয়া, সর্ব সাং-পাঁচপুর (ফলিয়া দিগর), থানা-সাঘাটা, জেলা-গাইবান্ধাগন সহ আরো অনেকে জানেন। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ সাঘাটা থানার ওসি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :