ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫
সাহাবুল আলম,স্টাফ রিপোর্টার: নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রায় প্রতিদিন মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে। আতঙ্ক ও শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় মোটরসাইকেল মালিকেরা। চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) লিখিত অভিযোগ করলেও কোন কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। গত ২৮/০৬/২৪ জুন) রাত ৮টার ৩০ মি: সময় খাকসা রাহমানিয়া মসজিদে ঈশার নামাজ পড়তে গেলে মোঃ ফখরুল আবেদীন ফিরোজ, পিতা মরহুম জয়নাল আবেদীন দুলু হাজী, সাং রোলভা , লক্ষীকোল, বড়াইগ্রাম, নাটোর এর মসজিদের গেটের সামনে রাখা ১৩৫ সিসির মোটরসাইকেলটি কে বা কাহারা চুরি করে নিয়ে যায়। তিনি বিষয়টি বড়াইগ্রাম থানা পুলিশকে অবহিত করে করেছেন কিন্তু তিনি অভিযোগের তেমন কোন অগ্রগতি দেখছেন না এমনটি জানাচ্ছিলেন তিনি।তাই তিনি গত ০২/০৭/২৪ ইং তারিখে নাটোর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয়দের দাবি, গত ছয় মাসে বড়াইগ্রাম থানার বিভিন্ন স্থান হতে প্রায় হাফ ডজন খানেক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। যাহা বড়াইগ্রামের খাকসা -খোকসা,জোনাইল,রাজ্জাক মোর,লক্ষীকোল বাজারসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫-৬ টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ চুরির ঘটনাই ঘটেছে দিনের বেলায় ও সন্ধার পরে । চুরি যাওয়া এসব মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ চোরদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে আবুল কাশেম মুন্সী, পিতা আব্দুল আউয়াল মুন্সী,সাং-বাগডোব, বড়াইগ্রাম রাজ্জাক মোড়ের মসজিদে শুক্রবারে নামাজ পড়তে ঢুকলেই মসজিদের সামনে রাখা ডিসকভার ১১০ সিসির মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। মসজিদে সিসি ক্যামেরা লাগানো না থাকায় চুরির ঘটনায় অভিযোগ করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো আসামী ধরা পড়ে নী। এ বিষয়ে আরো দুজন ভুক্তভোগী রয়েছেন। একজন হলেন মোঃ আবু সাঈদ পিতা মাহমুদ আলী সাং কুশমাইল ভরট গত ১৬/০৫/২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টা ৩০ মিনিটের সময় রয়না মারর্কাজ মসজিদে সামনে রেখে নামাজ পড়াতে গেলে ডিসকভার ১১০ সিসি মোটরসাইকেলটি নামাজ শেষে এসে দেখে গাড়িটা চুরি হয়ে গেছে। অপরজন হলেন মুহা ঃ মাহাদী হাসান মিরাজ, পিতা মৃত :দেলোয়ার হোসেন,সাং-রয়না গত ১৫-৫-২৪ ইং নিজ বাড়ির গেটের সামনে গাড়িটি রেখে ঘরের মধ্যে প্রবেশ আধা ঘন্টা পরে বাড়ির বাহিরে এসে দেখে গাড়িটা নেই।পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও কোন সন্ধান পাননি,তিনি বলেন বড়াইগ্রামে যেন মোটরসাইকেল চুরির স্বর্গরাজ্য চলছে, যাহা অকল্পনীয়। এ বিষয়ে স্থানীয় একজন পল্লী চিকিৎসক মো: রবিউল ইসলাম কিরন বলেন , আমরা সাধারণ বাইকার যারা আছি, তারা দৈনন্দিন কাজের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করি। মোটরসাইকেল কোথাও পার্ক করে রেখে গেলে ও শান্তি পাই না। আতঙ্কে থাকি যে, কখন কে যে, নিয়ে যায়। প্রশাসন এই জায়গায় কেন ব্যর্থ হয় বুঝতে পারছি না। কেন এদের ধরতে পারছে না?’তা আমাদের জানা নেই। তবে আমার দাবী চোরদের সনাক্তকরণ করে দ্রুতই গ্রেফতার করা উচিত তাহলেই কমতে পারে মোটরসাইকেল চুরি। এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আজম খানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা অভিযোগ পেয়েছি,অভিযোগ আমলে নিয়ে চোরদের ধরার জন্য অভিযান চলমান রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোটরসাইকেল চোর চক্রকে ধরার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ ছাড়াও বিশেষ অভিযান চলমান আছে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :