সুজন কুমার ভৌমিক,স্টাফ রিপোর্টার : ❝চরিত্রগত সুত্রে যে লাবণ্যে গতি শুরু হয় তা নিবন্ধিত অন্তরার কল্পক সুত্র❞ — অনিক রায় সাহিত্যের আদি গতিময় শাখা হচ্ছে কবিতা। কবিতা সমাজ তথা দেশকে সমৃদ্ধ করে চলেছে কবিতার প্রেম ও দ্রোহ মনের খোরাকে শব্দের বিলিকাটা শৈল্পিক রূপ তেমনি এই সময়ের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ কবি অনিক রায়, তার প্রকৃত নাম অভিজিৎ রায় (অনিক) তিনি অনিক রায় নামে কবিতা লেখেন । জন্ম ২৩ শে বৈশাখ ১৪১২ বঙ্গাব্দ ৭ই মে ২০০৬ খৃষ্টাব্দে পিতার চাকুরি সুত্রে ফরিদপুর জেলার কামারখালিতে পিতা কালা চাঁদ রায় মাতা মুক্তি রানী রায় পিতামহ অনিল কৃষ্ণ রায়। তার পৈতৃক নিবাস রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের নলছিয়া রায়ের পাড়া গ্রামে। এখানেই স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন। মুলত এই কবির লেখালেখি শুরু২০১৫ সাল থেকে টুকটাক গ্রামীণ ছড়ায় ২০১৮ সালে রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস সিক্সে ভর্তি হবার পর স্কুল পড়া অবস্থায় স্কুলের পুরোনো এক ম্যাগাজিনে কবিরত্ন স্বপন কুমার মন্ডলের স্মৃতিময় আঙিনায়, ও তাপস দে শান্তনুর পাইলটে পড়ি কবিতা দুটি পড়ার পর তার আত্মচিন্তায় এক নতুন মাত্রা যোগ হয় তিনি সেই প্রেরণা এমতাবস্থায় খণ্ডকালীন শ্রেণী শিক্ষক কবি অপূর্ব কুমার শীলের হাত ধরে লেখালেখির সাধনায় নিজেকে নিয়জিত করার চেষ্টা করেন। তার কবিতায় সমাজের দ্রোহ চারিত্রিক গতিময়তার মধ্যে দিয়ে বেশ শক্ত ভাষা কাঠামোতে চরিত্রগত উৎস সুত্রের মধ্যে থেকে প্রেমের ইঙ্গিত দেয়। তার লেখালেখির শুরু ২০১৫ সাল থেকে হলেও নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় লিটল ম্যাগ শাম্ভবী মুদ্রিত সংখ্যায় মাতৃচ্ছবি শিরোনামে তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। কবিতাকে নিমগ্ন আত্মচর্চার ভেতরে নিয়ে যান এরপর, নানান অনলাইন নিউজ প্রোটাল মিডিয়ার সাহিত্যপাতা বিভিন্ন মুদ্রিত যৌথগ্রন্থে টুকটাক লিখেন, এর পর দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওপার বাংলার কলকাতা থেকে প্রকাশিত বান্ধবনগর প্রাক্ বসন্ত সংখ্যা মুদ্রিত এই সংখ্যায় তার একটি সিরিজ কবিতা ছাপা হয় তিনি মনে করেন মূলত সাহিত্যের সমকালীন মূলধারার সাথে পরিচয়ের এটাই প্রথম মাধ্যম এর নাগরিক সখ্যতায় আত্ম-সাহসের হলফ দেখতে পান। এরপর থেকে জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠ , দৈনিক যায়যায়দিন, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন, আঞ্চলিক দৈনিক যুগের কথা, সহ বিভিন্ন দৈনিকের সাহিত্যপাতা ও লিটল ম্যাগে লেখালেখি করে চলেছেন। তিনি সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত লিটল ম্যাগ যমুনা এক্সপ্রেস কুত্রাপি সংখ্যার সম্পাদনা সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন,আজ তার ১৮ তম জন্মদিন। তার কবিতা ভাবনা চর্চা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মগজের ভেতর যখন শব্দ বা ঘটনাপ্রবাহ খেলে বেড়ায় তখন আমি সচেতনতার দরজা থেকে,বোধের কল্পকে কৈলাশ পর্বত থেকে নেমে এসে সমতলে প্রগতি নাগরিক হয়ে হাটি আর সঞ্চয় করি শব্দ , আমি মনে করি একজন লিখিয়ে হওয়ায় আগে ব্যাক্তি হিসেবে একজন নরসুন্দর হয়ে উঠতে হয়। একজন সু-চিন্তকে উপস্থিতি উৎসাহী হয় সমৃদ্ধ পাঠের ভেতর দিয়েই। ছোটবেলা থেকেই আমি খেলাধুলার ভেতরে থাকতে পারিনি শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে এটিকে দিনের’বেলায় আমার অপ্রাপ্তি মনে না হলেও পুরো একটি রাত কাটিয়ে ভোর বেলায় কিছু শব্দসুত্র নিয়ে উঠতাম, আমার শয্যাশায়ী ঠাকুমার বিছানার দিকে তাকিয়ে বসন্ত কে ভাবলে মনে হত এই বিষাদ চারিত্রিকতা নিয়ে শিল্পের দিকে যেতে হবে। আমার ছোটবেলার একটা বড় অংশ কেটেছে বগুড়া জেলার ধুনটে সোনাহাটায় ওখানে আমার পরিচিত এক আত্মজন কবিতার সঙ্গে কাটিয়েছি ভাড়াটে শৈশব তখন কবিতা কী জানতাম না, তখনো আমার কবি হতে ইচ্ছে করেছে বোধহয়। এইযে আমার প্রথম যৌবন কয়েকটি লেখা লিখছি লাবণ্য দির রূপক সজ্ঞায় আমার আশপাশে যে নাম কে আমি শৈল্পিক প্রেম মনে করি,একটা চরিত্রের ভেতরে নিয়ে গিয়ে আনন্দ পাই এই ধারাবাহিক গতিসুত্র সতন্ত্র তথা যাতে করে চিহ্নিত হয় এই আকাঙ্খা আমার মধ্যে বিপুল বয়স আনলো তার কল্পক-সুর থেকে লিখে যাবো।
আপনার মতামত লিখুন :