ঢাকা সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫
মানুষের মধ্যে পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ বাধিয়ে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা শয়তানের কাজ। শয়তান মানুষকে মহান রবের কাছে ক্ষমার অযোগ্য করে তুলতেও আল্লাহর স্মরণ থেকে বেখবর করে রাখতে এমনটি করে। এবং তা করতে গিয়ে সে বহু পথ অবলম্বন করে। _ঐশিগ্রন্থ আল কুরাআনে ইরশাদ হয়েছে- “শয়তানতো এটাই চায় যে, মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে শক্রতা ও হিংসা সৃষ্টি হোক এবং আল্লাহর স্মরণ থেকে ও সালাত থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখে। সুতরাং এখনো কি তোমরা নিবৃত্ত হবেনা?{সুরা মায়েদা, আয়াত-৯১} _তাই মুসলমানের দায়িত্ব হলো, শয়তানের এসব ফাঁদে পা না দিয়ে পরস্পর ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখা। এবং যেসব কাজের কারণে পরস্পর দূরত্ব ও বিবেধ সৃষ্টি হয়, সেগুলো থেকে বিরত থাকা। নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে এমন কিছু কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য কঠোরটভাবে সতর্ক করেছেন। _”সাহাবি আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা (অন্যের ওপর মন্দ) ধারণা করা থেকে বিরত থাকো, ধারণা বড় মিথ্যা ব্যাপার। তোমরা দোষ তালাশ করো না, গোয়েন্দাগিরি করো না, পরস্পর হিংসা পোষণ করো না, একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করো না এবং পরস্পর বিরোধে লিপ্ত হয়ো না; বরং তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে যাও”। [সহিহ বুখারি, “আচার ব্যবহার” অধ্যায়, হাদিস-৬০৬৪, হাদিসের মান: সহিহ।] জুবায়ের ইবনে সাঈদ তাকমিল (মাস্টার্স), দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত।
আপনার মতামত লিখুন :