রমাদান বিশ্বব্যাপী নেক আমলের মওসুম রমাদানে বিশ্বব্যাপী ইবাদত জিকির, তেলাওয়াত এবং খোদাভীতির পরিবেশ তৈরি হয়। প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের সকল মুসলমানের মাঝে ঐক্য ও একতার সেতু তৈরি হয়। শিক্ষিত-মূর্খ, ধনী-গরিবের যাবতীয় বৈষম্য ও ভেদাভেদ ঘুচে যায়। সকল দেশেই একযোগে আগমন করে রমাদান। শহরেও রমাদান, গ্রামেও রমাদান। দালান-কোঠাতেও রমাদান, গলি- ঘুপচিতেও রমাদান। রমাদানে সকলে সমান। কেউ কারও চেয়ে অগ্রগামী থাকে না। রোজার ব্যাপারে কারও নিজস্ব কোনো মত নেই। শাবান-পরবর্তী সময়ে মুসলিম বিশ্বের যে-কোনো প্রান্তেই সফর করা হোক রমাদানের সৌন্দর্য ও মাহাত্ম্য ফুটে উঠবে। পরিবেশের ওপর নুরানি পর্দার একটি আবরণ চোখে পড়বে সবার। রমাদানে রোজা ছেড়ে দেওয়া ব্যক্তিটিও প্রকাশ্যে পানাহার করতে বা অন্য অপকর্মে লিপ্ত হতে কুণ্ঠিত হয়। অসুস্থ এবং মুসাফির রোজার ব্যাপারে যাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে তারাও প্রকাশ্যে খানাপিনা থেকে বিরত থাকে। সে এক অন্যরকম অনুভূতি। বিশ্বব্যাপী বিরাজ করে সুন্দর ও বরকতময় রোজাময় পরিবেশ। এমন পরিবেশে রোজা রাখা সহজ হয়, অন্তর আল্লাহর দিকে ধাবিত হয়। হৃদয়ে ইবাদতের আগ্রহ তৈরি হয়। ইবাদত, সদাচার এবং সহমর্মিতার প্রতি মানুষ অধিকতর উৎসাহিত হয়। জুবায়ের ইবনে সাঈদ তাকমিল (মাস্টার্স), দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত ১২ রমজান ১৪৪৫ হিজরি।
আপনার মতামত লিখুন :