ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫
আল-আমিন ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মসজিদের ইমাম রাখাকে কেন্দ্র করিয়া কলহ বিবাদ মনোমালিন্য শেষে হামলা ও মামলা। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের পাড়ামৌলা (ভাংরারহাট) গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে নোঃ শরিফুল ইসলাম (৪৮)। তার সাথে একই এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে মোঃ রায়হানুল ইসলাম খোকন (৩২), মৃত ছহির উদ্দিনের ছেলে মোঃ মাহবুবর রহমান (৪০), মোঃ আবুল হাসেম (৬০), মোঃ আব্দুল মোতালেব (৪৬) সকলের সাথে মসজিদের ইমাম রাখাকে কেন্দ্র করিয়া কলহ বিবাদ মনোমালিন্য চলিয়া আসিতেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা না হলে তারা মারপিট করার সুযোগ খুজিতে থাকে। গত ০৯ মার্চ/২৪ তারিখ সন্ধ্যায় ডাংরারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজের পর মসজিদের ভিতরে অবস্থান কালে পূর্ব বিবাদের জের ধরিয়া রায়হান ইসলামগং হাতে লাঠি, ছোরা, দা প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করিয়া শরিফুলকে অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করিতে থাকে। শরিফুল প্রতিবাদ করিলে তারা লাঠি দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করে এতে শরিফুল হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। এ সময় শরিফুলের কাছে থাকা ৩ লাখ ৫০ হাজার ৮৮০টাকা বের করে নেয়। এ সময় শরিফুলের ছেলে উমর ফারুক মসজিদের দিকে আগাইয়া আসিতে থাকাবস্থায় ডাংরারহাট বাজারে তাকেও লাঠি দিয়ে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফোলা জখম করে। এ সময় একই এলাকার মোঃ আব্দুল খালেক ব্যাপারী, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ আবু বকর, মোঃ নুর আলমসহ বহু লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামীগন চলিয়া যায়। তাদের সহায়তায় আঘাত প্রাপ্তদের অপরিচিত অটোতে করিয়া চিকিৎসার জন্য রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মেডিকেলে ভর্তি করেন এবং শরিফুলের ভাইয়ের অবস্থা আশংকাজনক হলে ডাক্তার রেফার্ড করিলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। পরে এ ব্যাপারে রাজার হাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নিরঞ্জন রায় বলেন, থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :