সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান : রাজশাহী তানোরে ফসলি জমি বায়নামা করে বিপাকে ভুক্তভোগী পরিবার। বিক্রির উদ্দেশ্যে জমি বায়নামা ও টাকা নেয়ার পর জমি না দিয়ে প্রতারণা করছে প্রতারক জুয়েল রানা ও আবু সুফিয়ান রাশেল। তাদের মদদ দিচ্ছে হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নেতা হারুণ মাস্টার। উপজেলার কলমা ইউনিয়নের(ইউপি) কলমা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, এক তফসিল উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) জেল নম্বর-২২, মৌজা নটিপাড়া, খতিয়ান নম্বর এসএ ১২৮ ও আরএস ৮ নম্বর, দাগ নম্বর এসএ ৪ ও আরএস ৪, শ্রেণী ধানী, পরিমাণ ১.১০ একর কাতে ৬২ শতাংশের কাত ২০ শতাংশ। এবং দুই নম্বর তফসিল একই মৌজায় খতিয়ান নম্বর এসএ ৫৬ ও আরএস ৪৯ নম্বর, দাগ নম্বর এসএ ২৭ ও আরএস ৪৯, শ্রেণী ধানী, পরিমান ৮.০০ একর কাতে ৩৬ শতাংশ কাত ২০ শতাংশ। এক ও দুই নম্বর তফসিলে মোট ৫৩ শতক জমি কেনার জন্য নগদ ৮ লাখ ৫ হাজার টাকা দিয়ে বায়নামা করা হয়েছে। দাতা কলমা গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিনের পুত্র তাস মোহাম্মদের সঙ্গে বায়নামা করেন কলমা গ্রামের মৃত দাউদ আলীর পুত্র তাহির উদ্দিন। বিগত ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তাস মোহাম্মদ দুই তফসিলে তার ৫৩ শতক জমি বিক্রির জন্য নগদ ৮ লাখ ৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে তাহির উদ্দিনের সঙ্গে ৩০০ টাকা মুল্যের ননজুডিশিয়াল স্ট্যামে বায়নামা চুক্তি করেন। বায়নামা চুক্তিতে উল্লেখ করা হয় এক তফসিলের ২০ শতক জমির দখল তাহির উদ্দিনকে দখল বুঝে দেয়া হয় এবং অপর তফসিলের ৩৩ শতক জমির দখল রেজিষ্ট্রির পর বুঝে দেয়া হবে। উক্ত জমি রেজিষ্ট্রি করিয়া দিতে কোনো তালবাহানা বা প্রতারণা করিলে গ্রহীতা তাহির উদ্দিন দাতা তাস মোহাম্মদের বিরুদ্ধে সালিশ বা আইনের আশ্রয় নিতে পারিবেন। এদিকে দাতা তাস মোহাম্মদ গ্রহীতা তাহির উদ্দিনকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে চাইলে হারুন মাস্টারের কুপরামর্শে তার পুত্র জুয়েল রানা ও আবু সুফিয়ান রাশেল বাধা নিয়ে নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এমতাবস্থায় ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার তাস মোহাম্মদ ইন্তেকাল করেছে। তবে কেউ কেউ বলছে তাকে হয়তো মেরে ফেলা হয়েছে। অপরদিকে তাস মোহাম্মদের মৃত্যুর পর তার পুত্র জুয়েল ও রাশেল বায়নামার কথা অস্বীকার করেন। তারা গ্রহীতা তাহির উদ্দিনকে বাকি ৩৩ শতক জমি বুঝে তো দেননি, উল্টো তাহিরের দখলে থাকা ২০ শতক জমি জবরদখলের চেস্টা করে ব্যর্থ হয়। এমনকি আবারো তারা তাহিরের দখলে থাকা ২০ শতক জমি জবরদখলের পায়তারা শুরু করেছে। তাহিরের জমিতে লাগানো ধান কেটে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি তাকে পরিবারসহ গ্রামছাড়া করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, জুয়েল রানা, আবু সুফিয়ান রাশেল ও তাদের চাচা ইমাম হোসেন জৈনক হারুন মাস্টারের যোগসাজশে তাহিরের দখলীয় জমি জবরদখলের পাঁয়তারা করছে। গ্রামবাসি ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে গ্রহীতা তাহির উদ্দিন বলেন, তিনি তাস মোহাম্মদের কাছে থেকে দুই তফসিলে ৫৩ শতক ধানী জমি কেনার জন্য তাকে ৮ লাখ ৫ হাজার টাকা দিয়ে তার সাথে বৈধভাবে বায়নামা চুক্তি করেছেন। কিন্তু তাস মোহাম্মদ মারা যাবার পর তার পুত্র জুয়েল ও রাশেল বায়নামা চুক্তি অস্বীকার করছে। তিনি বলেন, তার দেয়া টাকা তাকে ফেরত দেয়া হোক, নয়তো জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হোক। এবিষয়ে জানতে চাইলে জুয়েল রানা ও আবু সুফিয়ান রাশেল বলেন, তাহিরের সঙ্গে বায়নামার বিষয়ে তাদের কিছু জানা নাই বলে এড়িয়ে যান তিনি।#সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান ৫ মার্চ ২০২৪ ফোন: ০১৭৬১-৮৯৯১১৯
আপনার মতামত লিখুন :