ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫

ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫

কুমিল্লা মনোহরগঞ্জের যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৮জনের যাবজ্জীবন

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪, ৪:৩৮ অপরাহ্ণ

মো লুৎফুর রহমান রাকিব কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার দায়ে দশজনকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীর মনোহরগঞ্জের সরসপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। আজ (২/৩/২০২৪ইং কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম মোছা. মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী এই রায় ঘোষণা করেন। এ রায় ঘোষণাকালে দন্ডপ্রাপ্ত ১৮জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত ৮জন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দশজনই অনুপস্থিত ছিলেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোঃ মোবারক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ড – প্রাপ্তরা হলেন, কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের তিন ছেলে মোঃ রিয়াদ হোসেন,মোঃ মীর হোসেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ সামছুল হক পাটোয়ারীর দুই ছেলে মোঃ ইউসুফ, মোঃ ইসমাইল হোসেন, মোঃ ছালেহ আহম্মদের ছেলে মিশু, মোঃ শহীদ উল্লাহ মেম্বারের ছেলে মোঃ রাজন,মোঃ তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ মানিক মিয়া, মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মো: মিজানুর রহমান,এবং একই এলাকার মোঃ সুলতান আহমেদের ছেলে মোঃ রাশেদ। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে নোমান, সিরাজুল ইসলামের ছেলে সালাহ উদ্দিন, হাজী আবদুস সামাদের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে পিচ্চি কাশেম, মৌলভী আলী আকবরের ছেলে মো. শহীদউল্লা মেম্বার,নূর আহম্মদের দুই ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ ও মো. সোহাগ, মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে মো. স্বপন,মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. রাশেদ, মৃত মন্তাজুর রহমানের ছেলে মো. টিপু। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ মে পূর্ব শত্রুতার বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মনোহরগঞ্জ দক্ষিণ বাতাবাড়িয়ার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলা চালায় আসামিরা। এসময় তারা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীর আলমের ভাই মোঃ আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ২০জনকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোহরগঞ্জ থানার এসআই মোঃ নাছির উদ্দিন।