ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫

ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫

বগুড়ায় ৪দিনেও কোন ক্লু পাওয়া যায়নি নিহত ভোরের কাগজের সাংবাদিক মঞ্জু’র

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:০৯ অপরাহ্ণ

মোঃ মিনারুল ইসলাম: নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ এর বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা প্রতিনিধি ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সহ-সভাপতি ও আদমদিঘী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মুঞ্জু’র (৫২) দ্বি-খন্ড লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৪দিন অতিবাহিত হলেও কোন ক্লু পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ বেশ তৎপর হয়ে নানাভাবে কাজ করছে বলে জানা গেছে।আদমদিঘী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা সাংবাদিক মুঞ্জু’র দ্বি-খন্ড লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ক্লু বা সঠিক তথ্য বের করার জন্য কাজ করছি। এ ছাড়া ওই পরিবার থানায় এসে ছিল, তাদেরকে মামলা বা অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।নিহত সাংবাদিক মঞ্জু’র ছেলে মেজবাহুল মোরছালিন মেজবা জানান, এজাহার বা মামলার আরজি লেখা সর্ম্পূণ না হওয়ায় শনিবার থানায় দায়ের করা যায়নি। তবে আগামীকাল রবিবার হত্যা মামলা থানায় দায়ের করা হবে। পরিবারের অন্যান্যরা ও এলাকার অনেকে বলছেন, সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু সড়ক দুর্ঘটনায় নয়, তাকে হত্যা করে লাশ দ্বি-খন্ড করে রাখা হয়েছে।তাছাড়া ঘটনাস্থলে একটি কাচা বাশঁও ছিল।পাকা সড়কে সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু‘র দ্বি-খন্ড লাশ পড়ে থাকলেও তেমন রক্ত নেই সড়কে।আবার শরীরের অন্যান্য স্থানে তেমন কিছু হয়নি। মোটরসাইকেল এর অল্প ক্ষতি হয়েছে।মাথায় হেলমেট পড়া অবস্থায় সড়কে পড়ে থাকলেও হেলমেট কিছুই হয়নি। শরীরে জ্যাকেট পড়া থাকলেও জ্যাকেট এরও কোন ক্ষতি হয়। সাধারণত ট্রেনে কাটা পড়লে দ্বি-খন্ড হয়। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় এভাবে দ্বি-খন্ড খুব কমই হয় বলে এলাকাবাসি জানান। যে কারনে সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু‘র মৃত্যু নিয়ে নানা রহস্য। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তদন্ত করে খতিয়ে দেখলেই সঠিক তথ্য বের হবে বলে নিহত মঞ্জু’র পরিবার ও এলাকাবাসি জানিয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় আদমদিঘী উপজেলার মুরইল জয় ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন স্থানে তার মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেন। তাদের আদমদিঘী উপজেলার উজ্জ্বলতা গ্রামে একটি পিকনিকের আয়োজন ছিল। পিকনিক শেষে সম্পর্কের এক ভগ্নিপতি আতোয়ার রহমানকে পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর গ্রামে মোটরসাইকেল যোগে রাখতে যান মঞ্জু। এরপর আর বাড়িতে না আসলে রাত পৌনে ১২টার দিকে উল্লেখিত স্থানে দ্বি-খন্ড লাশ হিসেবে পড়ে থাকার খবর পায় পুলিশ। পরে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে পুলিশ সংবাদ দিলে তার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে যান। নিহত মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু আদমদীঘি উপজেলার উজ্জ্বলতা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। অপর দিকে ভোরের কাগজের সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম মুঞ্জু দুবৃর্ত্তদের দ্বারা নিহত হওয়ায় গতকাল শনিবার আদমদিঘী উপজেলার উজ্জলতা গ্রামে নিহত মঞ্জু’র বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানিয়ে শান্তনা দেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া নিহত সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু’র রুহের মাগফিরাত কামনায় কবর জিয়ারত ও দোয়া খায়ের এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি বাদল চৌধুরী, সাংবাদিক সংস্থা’র জেলা কমিটির সভাপতি মুহাম্মাদ আবু মুসা, সাধারণ ইউনুছ উদ্দীন, সদস্য আব্দুল হান্নান, আজিজুল হক, স্থানীয় আদমদিঘী প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক বেনজির রহমান, নিহত সাংবাদিক মঞ্জু’র স্ত্রী রেনুকা পারভীন, ছেলে মেজবাহুল মোরছালিন মেজবা, মেয়ে আদিবা খাতুর, ছোট ভাই মোশারফ হোসেন, বোন রিপা বেগম, রেবেকা বেগম, ভাগিনা ডলার মিয়াসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ওই পরিবারের সার্বিক খোঁজ খবর নেন এবং যে কোন সমস্যার জন্য সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।