ঢাকা সোমবার ৬ অক্টোবর, ২০২৫
মোঃ মিনারুল ইসলাম, নিজস্ব, প্রতিনিধি বগুড়া: ১৪ই ফেব্রুয়ারি বুধবার অনুষ্ঠিত হবে বগুড়ার গাবতলী মহিষাবান ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী ৪শত বছরের পুরানো পোড়াদহ মেলা। মেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন মেলার আয়োজকরা। লাখো মানুষের পদচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে । মেলার মূল আকর্ষণ হলো বাঘাইড় মাছ। কিন্তু গতবছরে মেলায় বাঘাইড় মাছ কেনাবেচা করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জানা গেছে, গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ী বন্দর সংলগ্ন প্রায় চার’শ বছর পূর্ব থেকে স্থানীয় সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষে গাড়ীদহ নদী ঘেঁষে সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানা জমিতে ১দিনের জন্য মেলাটি বসে। মেলাটি একদিনের হলেও আমেজ থাকে বেশ কয়েকদিন। বাংলার প্রতি বছরের মাঘ মাসের শেষ অথবা ফাল্গুন মাসে বুধবারে মেলাটি হয়ে থাকে। মেলা উপলক্ষে আশপাশের গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে আত্মীয়-স্বজন এসে মিলিত হন। ঈদ বা অন্য কোন উৎসবে জামাই মেয়েদের কিংবা নিকট আত্মীয়দের দাওয়াত না দিলেও চলে কিন্তু পোড়াদহ মেলায় দাওয়াত দিয়ে ধুমধাম করে খাওয়াতেই হবে-যা অনেকটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এই মেলাকে ঘিরে উপজেলার দুর্গাহাটা হাইস্কুল মাঠ, সুবোধ বাজার, দাড়াইল বাজার,নাড়ুয়ামালাহাট সহ আরো কয়েকটি স্থানে মেলা বসানো হয়েছে। মেলার মূল আকর্ষণ হলো রুই, কাতলা, মৃগেল, বোয়াল, সিলভারকার্পসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জাতের বড় বড় মাছ। মেলায় আকর্ষণ হলো, মাছ আকৃতির ১৫ থেকে ২০কেজি ওজনের মিষ্টি। এছাড়াও মেলায় কাঠ বা ষ্টীলের র্ফানিচার, বড়ই (কুল), কৃষি সামগ্রী সহ হরেক রকমের আসবাবপত্র পাওয়া যায়। মেলায় আয়োজন করা থাকে বিনোদনমূলক সার্কাস, নৌকা খেলা, কার খেলা, যাদু ও নাগোরদোলা। গাবতলী ইউএনও নুসরাত জাহান বন্যা এবং গাবতলী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, মেলাটি সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে আইন-শৃঙ্গলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মেলায় নাগরদেলা, চরকি, সার্কাসসহ শিশুদের জন্য অন্যান্য খেলা খাকবে। কিন্তু এসব এর আড়ালে কোন প্রকার জুয়া অথবা অশ্লীন কোনকিছু হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :