
আশিকুর রহমান রাজারহাট উপজেলা প্রতিনিধি: রাজারহাটের রাজামাল্লীরহাট ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সভাপতির ঘুষের টাকা ভাগ-বাটোয়ারার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনসুর আলী টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। তবে তিনি নিজের জন্য নেননি বলে দাবি করেছেন। জানা গেছে, রাজমাল্লীরহাট মাদ্রাসায় গত১৮ ফেব্রুয়ারি অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিনহাজুল ইসলাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি থাকায় নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছিল। এতে আবু তালেব নামে একজন মনোনীত হন। তাঁকে ৩০ মার্চ নিয়োগপত্র দিলে ২ এপ্রিল যোগদান করেন। কিছুদিন পর কমিটির সভাপতি অন্যত্র বদলি হন। এ সুযোগে অধ্যক্ষ ও কমিটির অন্য সদস্যরা দাবি করে আবু তালেবের কাছে টাকা এমপিওভুক্তিতে টালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ এ টি এম রফিকুল ইসলামও অবসরে যান। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান উপাধ্যক্ষ মনসুর আলী। সভাপতি হন শহিদুল ইসলাম। পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ৬ লাখ টাকায় রফা করেন। সম্প্রতি এ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সভাপতি শহিদুলের বাড়িতে সভা করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ কমিটির কয়েকজন। এর ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনসুর আলী টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কমিটির কিছু লোক এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষের চাপে তিনি টাকা নিয়ে দিয়েছেন। ৬ লাখের মধ্যে ২ লাখ টাকা বাকি আছে। সভাপতি এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ২ লাখ টাকা করে দিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছেন। প্রাক্তন অধ্যক্ষ এ টি এম রফিকুল ইসলাম বলেন, আগের বিষয়ে কথা বলতে চান না। সভাপতি শহিদুল ইসলাম কল কেটে দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন তিনি। আবু তালেব বলেন, টাকার জন্য ১১ মাস তাঁর এমপিও হয়নি। পরে দুলাভাই দেলোয়ার হোসেন টাকা দিয়েছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রব বলেন,অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :