মোঃ আব্দুল আজিজ ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বড়ালব্রিজ স্টেশনে লোকাল/ সকাল ট্রেন চালকের অবহেলায় দুই পা হাড়ালো একজন মুদি ব্যবসায়ী। ঘটনা টি ঘটেছে সকাল সাড়ে ছয়টা বড়ালব্রীজ রেল স্টেশনে।আহত ব্যক্তি হলেন মোঃ আলাউদ্দীন আকন্দ। আকন্দ উল্লাপাড়ার বলায়গাতি গ্রামের মৃত আজগার আকন্দর ছেলে। দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করার সুবিধার্থে বাসা ভাড়া থাকেন ভাঙ্গুড়া এস আর পাড়া। জানা যায়, আলাউদ্দিন আকন্দ প্রতিদিনের ন্যায় আজও বড়ালব্রিজ স্টেশন থেকে দিলপাশার স্টেশনে যাবার উদ্দেশ্যে বাসায় থেকে রওনা হয়েছিলেন সকাল ৫:৫০ টার সময়। সকাল ৬:৩০ টার দিকে ট্রেন আসলে ট্রেনে উঠতে গেলে অল্প সময় ট্রেন দাড়ানোর কারণে তিনি তারাহুড়া করে উঠতে গিয়ে ট্রেন থেকে পড়ে ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে দুই পা কেটে যায়। পড়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে যায়। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ট্রেন মাত্র দুই মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল। অনেকে জানান যে, এই স্টেশনে অল্প সময় ট্রেন দাঁড়ানোর কারণে এর আগেও অনেকে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে যেমনঃ টিকিট কেটেও ট্রেনে উঠতে না পারা, ট্রেনে উঠতে গিয়ে ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া নিহত হওয়া এবং তাড়াহুড়া করে ট্রেনে উঠতে গিয়ে একে অপরের সাথে ঝামেলা হওয়া ইত্যাদি। আরো জানা যায়, ভাঙ্গুড়া বড়ালব্রিজ স্টেশনে অনেক যাত্রী উঠানামা ও মাল লোডিং আনলোডিং করা হলেও সেখানে নাকি কখনো ২ থেকে ৩ মিনিটের বেশি কখনো ট্রেন দার করান না। আর এই ২ থেকে ৩ মিনিটের বেশি ট্রেন দার করাতে হলে ট্রেনের গার্ডকে আলাদাভাবে কিছু টাকা দিতে হয় আর সেটা নাকি বড়ালব্রিজ স্টেশনের লোকাল টিকিট কাউন্টার মাষ্টার নাকি সেটা দেন না। তাই সেখানে ট্রেন দাঁড় করানো হয় না কিন্তু কেন? একটু অসাবধানতায় অঙ্গহীনতার কারণে আজ ওই দুই পা কেটে যাওয়া মানুষের দায়িত্ব কে নিবে হ্যাঁ? ৪- ৫ মিনিট ট্রেন দাঁড়ালে এ রকম হতো না বলে জানান স্থানীয়রা। এবিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী পশ্চিম অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতি ষ্টেশনে তিন মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার নিয়ম, তবে যাত্রীর চাপ থাকলে ৫/৬ থাকতে পারবে। কিন্তু ঐ ট্রেনের চালক কেন এমনটি করলেন, ব্যবস্থা নিতে ঈশ্বরদী পয়েন্টে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।
আপনার মতামত লিখুন :