ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫

ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫

সাঁথিয়া হানাদার মুক্ত দিবস আজ

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

এস এম আলমগীর চাঁদ ( সাহিত্য সম্পাদক ) আজ ৯ ডিসেম্বর পাবনার সাঁথিয়া হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাবনার সাঁথিয়া থানা সম্পূর্ণ শত্রু মুক্ত হয়।মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের পতাকা হাতে নিয়ে এদিন বিজয় উল্লাস করেছিলেন।জানা যায়,১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আহ্বানে সারা দিয়ে শিক্ষক রোস্তম আলী,তোফাজ্জল মাস্টার,আয়েজ উদ্দিন প্রমুখ বিশিষ্ট স্বাধীনতাকামী ব্যক্তিবর্গ এলাকার ছাত্র ও যুবসমাজকে মুক্তির সংগ্রামে প্রস্ততি নিতে উদ্বুদ্ধ করতে থাকেন।সাঁথিয়া হাইস্কুল মাঠে এরা প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে।অবঃ সেনাসদস্য কাজী মোসলেম উদ্দিন সাঁথিয়ার ছাত্র/যুবকদের প্রশিক্ষন দেন।২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়ার পর ২৭ মার্চ সাঁথিয়া পশু হাসপাতাল প্রাঙ্গনে নিজাম উদ্দিন,মকবুল হোসেন মুকুল,আলতাব হোসেন,লোকমান হোসেন,রেজাউল করিম,মোসলেম উদ্দিন,আবু হানিফ,দৌলত হোসেন,আবু মুসা,সোহরাব,লতিফসহ যুবতরুণরা লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।দীর্ঘ নয় মাস বিভিন্ন স্থানে পাকসেনাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক,নজরুল ইসলাম চাঁদু,আঃ সামাদ,দারা হোসেন,শাহজাহান আলীসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।ধূলাউরি বাউশগারী ও নাগডেমরা এলাকায় ৮/৯ শত মানুষ গণহত্যার শিকার হন।৮ডিসেম্বর সাঁথিয়ার সকল মুক্তিযোদ্ধা একত্রিত হয়ে থানাসদর থেকে ২ কিঃমিঃ পশ্চিমে নন্দনপুর পাকসেনাদের সাথে চুড়ান্ত মোকাবেলায় অবতীর্ন হন।মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে পাকহানাদার বাহিনী পিছু হঠতে বাধ্য হয় এদিন যুদ্ধে সাঁথিয়ার একমাত্র মহিলা মুক্তিযোদ্ধা বানু নেছা ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সাঁথিয়া থানা চত্বরে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সাঁথিয়া থানাকে শত্রু মুক্ত ঘোষনা দেন।আজকের দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করার উদ্দেশ্যে সাঁথিয়া উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদ নানা কর্মসূচি পালন করবে।