ঢাকা মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫

ঢাকা মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫

মিঠাপুকুরে ৩৩ দিন আটকে রেখে ৭ম শ্রেণির ছাএীকে ধর্ষণের অভিযোগ

মাটি মামুন রংপুর। প্রকাশিত: শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৩, ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ

মিঠাপুকুরে ৩৩ দিন আটকে রেখে ৭ম শ্রেণির ছাএীকে ধর্ষণের অভিযোগ।  রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও মসজিদের ইমাম কতৃক ৩৩ দিন ধরে ৭ম শ্রেণির নাবালিকা ছাএী কে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। হুজুরের জিন্মিদশা থেকে উদ্ধার হয়ে পরিবারের লোকজন কে বিষয়টি জানালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুলিশ অভিযুক্ত কে আটক করে। মিঠাপুকুর উপজেলার ৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ইসলামপুর বিন্নাপাড়া গ্রামের মোঃ সামছুল ইসলামের পুত্র হাফেজ মোঃ আনোয়ার হোসেন(৩০) নিজ এলাকায় বেলবাড়ি দারুস সালাম একাডেমি নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা নামে একটি আসাসিক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ঐ আবাসিক মাদ্রাসার নিজেই পরিচালক এবং শিক্ষক হিসেবে ছাত্র -ছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি ইসলামপুর ভাংগার পাড়া মসজিদের ইমাম ও মক্তব পড়ার দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। সে সময় তার মক্তবে পড়তেন সাইফুল ইসলামের নাবালিকা কন্যা চূহড় দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মক্তব পড়া কালিন সময়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত হুজুর আনোয়ার হোসেন ঐ ছাত্রী কে ফুসলিয়ে তার নিজের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যায়। সেখানে সে ঐ ছাত্রী কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটানা ৩৩ দিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এদিকে মেয়ের খবর না পেয়ে তার বাবা মিঠাপুকুর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। মেয়ে নিখোঁজের কথা জানাজানি হলে স্থানীয় কিছু ছেলে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে হুজুর আনোয়ার হোসেন কে নিখোঁজ ছাত্রী কোথায় আছে জানতে চেয়ে হুমকি দিয়ে আসে। স্থানীয় চাপে হুজুর আনোয়ার হোসেন ১ নভেম্বর (বুধবার)রাতে নিখোঁজ ছাত্রী কে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরিবারের লোকজন ছাত্রী কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে বিষয়টি বিস্তারিত জানায়। ছাত্রী জানান, আনোয়ার হোসেন হুজুর তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার অফিস কক্ষে তাকে রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। সে সময় হুজুরের সাথে কেউ কোন কাজে দেখা করতে আসলে তখন ছাত্রী কে আলমারির ভিতরে লুকিয়ে রেখে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতেন। এ ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আনোয়ার হোসেন হুজুর কে তার মাদ্রাসা থেকে তুলে এনে ৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিকট বিচারের জন্য হস্তান্তর করে। ধিরে ধিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ও বেসামাল হলে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ কে জানানো হয়। পড়ে পুলিশ এসে অভিযুক্ত হুজুর আনোয়ার হোসেন কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান এবিষয়ে জানান, অভিযুক্ত কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার থানায় এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।