ঢাকা মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫

ঢাকা মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হেফজ বিভাগের শিক্ষক ইউনুছের বিরুদ্ধে ছাত্রকে এলোপাথাড়ি মারধরের অভিযোগ

টেকনাফে প্রতিনিধি: প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৩, ২:৩৮ অপরাহ্ণ

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হেফজ বিভাগের শিক্ষক ইউনুছের বিরুদ্ধে ছাত্রকে এলোপাথাড়ি মারধরের অভিযোগ উঠেছে নয়ন। কক্সবাজারের টেকনাফে সদর ইউনিয়নের জাহালিয়া পাড়া খাদেমুল কোরআন হেফজ বিভাগের এক শিক্ষক ইউনুছ এর বিরুদ্ধে ছাত্রের কাছ থেকে টাকা চাওয়ায়, না দেওয়ার কারণে এলোপাথাড়ি মারধর করে জখমী করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি জাহালিয়া পাড়া খাদেমুল কোরআন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক। জখমীর নানা আলী আহমেদ বলেন সম্পর্কে আমার নাতী। জখমী হয়। উক্ত মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। সেই সুবাদে জখমী অসুস্থৃতার কারনে কয়েকদিন মদ্রাসায় অনুপস্থিত ছিল। এরই জের ধরে শিক্ষক ইউনুছ জখমীর নিকট থেকে অনুপস্থিত থাকার কারনে(দুই হাজার) টাকা খোঁজে। এতে জখমী বিবাদীকে টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করিলে বিবাদী জখমীকে মারধর করে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি প্রদান করেন শিক্ষক ইউনুছ। সোমবার (৩১অক্টোবর) সকাল আট ঘটিকার সময় টেকনাফ থানাধীন ইউপিস্থ মাঠ পাড়ার বাসিন্দা জখমীর নানা আলী আহমেদ, বিষয় টি নিশ্চিত করেন। নানা আলী আহমেদ বলেন,জাঁহালিয়া পাড়া এলাকায় খাদেমুল কোরআন মাদ্রাসায় শিক্ষক ইউনুছ জখমীর উপর ক্ষীপ্ত হয়ে জখমীকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলােপাতাড়ি মারধর করিয়া নীলা ফুলা জখম করে আহত করে। বিষয়টি আমি জানতে পারিয়া বিবাদীর সাথে যােগাযােগ করিলে বিবাদী আমাকে দেখিতে পাইয়া আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি ধমকি প্রদান করে তাড়িয়ে দেয়। শিক্ষক ইউনুছের মারধরে জখমী আহত হইলে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্রাথমিক চিকিৎ্সা গ্রহণ করায়। যাহার চিকিৎসাপত্র সংযুক্তি প্রদান করা হইল। বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে আমি স্থানীয় গণ্যমান্য লােকজন ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করিলে তাহারা আমাকে থানায় অভিযােগ করার পরামর্শ প্রদান করেন। এমতাবস্থায়, আমি জখমীর চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় ও স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নিরুপায় হইয়া জখমীকে সাথে নিয়া থানায় হাজির হয়ে উপরোক্ত শিক্ষক ইউনুছের বিরুদ্ধেয় একটি লিখিতভাবে অভিযােগ দায়ের করি টেকনাফ মডেল থানায়। শিক্ষক এর এলোপাথাড়ি মারধরে আহত ছাত্রের নানা, আলী আহমেদ বলেন, আমি দেশের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এই বিচার দিলাম মাদ্রাসার শিক্ষক ইউনুছ কে কঠোর শাস্তির প্রধান করার জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।