ঢাকা রবিবার ১২ অক্টোবর, ২০২৫

ঢাকা রবিবার ১২ অক্টোবর, ২০২৫

এরুলিয়ায় এখনো উচ্ছেদ হয়নি সরকারী জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা আওয়ামিলীগ নেতার দোকান

✒ দৈনিক কলম যোদ্ধাঃ প্রকাশিত: শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১০ অপরাহ্ণ

মোঃ মিনারুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের এরুলিয়া হাটে জেলা পরিষদের সরকারী খাস সম্পত্তিতে আওয়ামীলীগের শাসনামলে রাতারাতি অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা দোকান ঘর গুলো উচ্ছেদ করা হয়নি এখনো। এতে করে সরকার একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে অপরদিকে জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদদের রক্তের উপরে পা দিয়ে দিদারছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন ঐ আওয়ামীলীগ নেতা। যা গনঅভ্যুথানের সাথে বড়ই বেমানান ও লজ্জাজনক।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক এর তত্বাবধানে দোকানঘর গুলো রাতারাতি তৈরী করা হয়েছিল। যা দেশের পটপরিবর্তনের পরেও এখনো সেই দোকানঘর গুলোর ভাড়া তুলে খাচ্ছেন ঐ নেতা। তিনি জুলাই বিপ্লবে দায়ের হওয়া মামলার এজাহার নামীয় আসামী। এই মামলায় সে বেশ কিছুদিন আগে জেল খেটেছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, গত ২০২২ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মানিক আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে রাতারাতি সরকারী জায়গায় স্থায়ীভাবে অবৈধ দোকান ঘর গুলো নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে। এখানে ৮টি দোকান ভাড়া দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন। এমনকি এক ব্যবসায়ী ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি মানিকের নিকট থেকে দোকান কিনে লেদের দোকান দিয়েছে। যা সম্পুর্ণ বেআইনী।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মানিক বলেন, আওয়ামীলীগের আমলে আমরা হাট ইজারা নিয়েছিলাম তখন দোকান ঘর গুলো নির্মাণ করেছিলাম। এখন অবশ্য সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছি। তবে সরকার যদি ভেঙে ফেলে তাহলে আমার কিছু করার নাই। যেহেতু ৫ আগস্টের পর দোকান গুলো ভাঙ্গেনি সেহেতু আর উচ্ছেদ হবে বলে মনে হয়না। কেউ তদন্তে আসলে তাকে কিছু সম্মানী দিলেই সব ধামাচাপা পড়ে যাবে।

এরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক বলেন, উক্ত জায়গা জেলা পরিষদের। প্রায় ০৪ বছর পূর্বে আওয়ামীলীগের আমলে প্রভাব খাটিয়ে স্থায়ী দোকান ঘর নির্মাণ করেছিল। এতে করে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। যদি জেলা পরিষদ জায়গাটি বুঝে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা গুলোতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে নতুন করে মার্কেট নির্মাণ করে দেয় তাহলে সরকারী জায়গায় দখলমুক্ত হবে অপরদিকে সরকারের রাজস্ব আদায় হবে।

এব্যাপারে বগুড়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোঃ শাহনেওয়াজ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার নিয়োগের মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।