ঢাকা বুধবার ২৩শে জুলাই, ২০২৫
উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর পোরশায় গভীর নলকূপ থেকে পানি দেওয়ার নামে কৃষকদের কাছ থেকে অতিরীক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলে তদন্ত পূর্বক জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছে একাধীক কৃষক।
বরেন্দ্র বহুমূখী কতৃপক্ষ (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদনটি করেছেন নওগাঁর পোরশা উপজেলার একাধীক কৃষক। কৃষকরা হলেন, নিতপুরের আব্দুল হাই, বটতলীর এজাবুল, মনিরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, আলাউদ্দিন ও হাফিজুর রহমান। আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, তারা অনেকদিন ধরে তাদের জমি
নওগাঁ জেলাধীন পোরশা উপজেলার অন্তর্গত জেএল না-৭৮, বিলকৃষ্ণসদা মৌজার হাল ৪২৯৫ নং দাগের উপর অবস্থিত ডিপটিয়বওয়েলের (গরীর নলকূপ) স্কীম এর আওতায় চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু অপারেটর কাম রেকর্ড কিপার পারুল হোসেন বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নীতিমালা বহির্ভূত ভাবে বিঘা প্রতি ৬০০/- (ছয়শত) টাকা কৃষককদের নিকট হইতে আদায় করায় এবং টাকা না দিলে জমিতে পানি না দিয়া আবাদ বন্ধ রাখার বিষয়ে হুমকি দিচ্ছে।
অবৈধভাবে স্কীমভুক্ত জমি ছাড়াও অতিরিক্ত ২০ (বিশ) বিঘা জমি আবাদ করা নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। আদায়কৃত টাকা ফেরৎ এবং অবৈধভাবে কাহার নির্দেশনায় টাকা নিয়েছেন এ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তপূর্বক জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দাবি করছেন তারা। তারা আরো উল্লেখ করেন, তারা
পোরশা উপজেলাধীন বিলকৃষ্ণসদা মৌজার ৪২৯৫ নং দাগে অবস্থিত ডিপ-টিউবওয়েলের (গভরি নলকূল) সেচ কমিটি সদস্য ও জমির মালিক। উক্ত গভীর নলকুপে ০১ (এক) বছরের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে পারুল হোসেনকে অপারেটর কাম রেকর্ড কিপার নিয়োগ প্রদান করেছেন। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিধান মোতাবেক কৃষকগণ নিজনিজ টাকা রিচার্জ করে প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে খরচ করিয়া চাষাবাদ করেন।
অপারেটরের দায়িত্ব হইল কৃষকদের জমিতে পানি দেওয়া এবং সুইস বন্ধ করা। কিন্ত তিনি তা না করে স্কীমভুক্ত জমি ছাড়াও অতিরিক্ত ২০ (বিশ) বিঘা জমিতে পানি দিতেছে এবং ডিপের স্কীমের সকল কৃষকগণের নিকট হইতে অবৈধভাবে বিঘা প্রতি ৬০০ টাকা করিয়া আদায় করিয়া জমিতে পানি দিতেছে। অন্যথায় পানি দিবেনা বলে হুমকি দিচ্ছে। অত্র ডিপে স্কীমভুক্ত জমির পরিমাণ ১৫০ বিঘা।
অপরদিকে ২০ বিঘা অতিরিক্ত জমিতে অপারেটর কাম রেকর্ড কিপার পানি দিতেছে এবং টাকা আদায় করিতেছে। যাহার ফলে ১৫০ জমিতে ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্তি আদায় করিতেছে। যাহা বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নীতিমালা বহির্ভুত কাজ। তারা আরো উল্লেখ করেন,
ইতিপূর্বে উক্ত অপারেটরের বিরুদ্ধে কৃষকদের পক্ষ হইতে অভিযোগ করা হইলেও কোন প্রকার সুরাহা হয়নি। এবছর আবারও তাকে পুনরায় অপারেটর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই দূর্নীতিবাজ অপারেটর কাম রেকর্ড কিপার নিয়োগের কারণে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভাব মূর্তি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দ্রæত তাকে না অপসারন করলে কৃষক সমাজ চরমভাবে অতিগ্রস্থ হবে।
এবিষয়ে তারা দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন। এবিষয়ে বিএমডিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) (ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়ন ও নির্মাণ-ডিজাইন অনুবিভাগ) ড. আবুল কাশেমের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, এপর্যন্ত পোরশা জোন থেকে তার কোন আবেদন পাননি। পেলে ব্যবস্থা নিবেন।
নওগাঁ #
আপনার মতামত লিখুন :