ঢাকা সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫

ঢাকা সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫

এই এলাকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ -নাহিদুজ্জামান নিশাদ

✒ গাইবান্ধা (সাঘাটা) প্রতিনিধি:  প্রকাশিত: শনিবার, ১০ মে, ২০২৫, ৫:৪১ অপরাহ্ণ

গাইবান্ধা (সাঘাটা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধা-৫ সাঘাটা ও ফুলছড়ি আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক নাহিদুজ্জামান নিশাদ বলেছেন, “জনগণের কল্যাণ ও এলাকার সার্বিক উন্নয়নে আমার অবস্থান সবসময় দৃঢ়। এ অঞ্চলের অবহেলিত জনগণের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করে যেতে চাই।একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার শিকড় এই এলাকাতেই। এখানকার প্রতিটি মানুষ আমার আপনজন। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের পাশে থেকে রাজনীতি করলে তবেই প্রকৃত অর্থে দেশ ও সমাজ উপকৃত হয়।”নিশাদ জানান, তিনি একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসা শুরু করলেও পরে সমাজকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত হন। রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হন ১৯৯১ সাল থেকে। তখন থেকেই বিএনপির আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।তিনি আরও বলেন, “আমার জীবনের লক্ষ্যই হচ্ছে জনগণের পাশে থেকে তাদের সমস্যার সমাধান করা। আমি চাই এই এলাকাটি যেন উন্নয়নের এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। একমাত্র জনগণের ভালোবাসাই পারে আমায় সেই সুযোগ করে দিতে।”নাহিদুজ্জামান নিশাদ দাবি করেন, বিএনপি যদি তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেয়, তবে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে তিনি এই জনপদের অবহেলিত মানুষের জন্য একটি টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।সাক্ষাৎকারে তিনি স্থানীয় মানুষের সমস্যাগুলোর কথাও তুলে ধরেন—যেমন: বেকারত্ব, কৃষি উন্নয়নের অভাব, নদীভাঙন, স্বাস্থ্যসেবা সংকট ইত্যাদি। তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের মানুষ যেন রাজধানীমুখী না হয়, তা নিশ্চিত করতে হলে স্থানীয় পর্যায়েই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।নিশাদ আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি রাজনীতির মাধ্যমে পরিবর্তন সম্ভব। আমি চাইলেই ঢাকায় আরামে থাকতে পারতাম। কিন্তু আমি এসেছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে, তাদের ভাগ্য বদলাতে। আমি চাই এই আসনের প্রতিটি মানুষ গর্ব করে বলতে পারে—এই এলাকা পিছিয়ে নেই।অনেকেই বিএনপি রাজনীতির ক্লিন ইমেজ হিসেবে দেখছেন তাঁকে। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ সভাপতি হিসেবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতির বাহিরে তাঁর আরেকটি পরিচয় বগুড়া থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে।