ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫
সাঘাটা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ভুঁইফোড় সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। অভিযোগ উঠেছে, নামসর্বস্ব কিছু সংবাদমাধ্যমের পরিচয়ে একাধিক দলে দলে বিভক্ত হয়ে কথিত কতিপয় সাংবাদিক চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব তথাকথিত সাংবাদিকদের বেশিরভাগেরই নেই কোনো স্বীকৃত গণমাধ্যমের অনুমোদন বা পেশাদারিত্ব। তারা মোটরসাইকেলে ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে চাঁদাবাজি করছে। সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থ আদায়ের জন্য তারা নানা অজুহাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল-মাদ্রাসা ও সরকারি দফতরে গিয়ে হয়রানি চালাচ্ছে।এক ভুক্তভোগী স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, এরা সাংবাদিকতার নামে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। নিয়মিত এসে টাকা দাবি করে, না দিলে মিথ্যা রিপোর্ট করার হুমকি দেয়। আবার টাকা দিলেই সব কিছু চেপে যায়।এ বিষয়ে সাঘাটার সাংবাদিক আনিসুর রহমান বলেন, কিছু আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকা ও ডিক্লারেশনবিহীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে টাকার বিনিময়ে কার্ড সংগ্রহ করে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছেন। তারা প্রকৃত সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুসরণ না করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছেন। এতে আমরা যারা মূলধারার সাংবাদিকতা করি, তারা প্রতিনিয়ত নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি।এছাড়া, বেশ কয়েকজন সাংবাদিক অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, কিছু প্রভাবশালী সাংবাদিক নিজেদের স্বার্থে নতুন নতুন অপসাংবাদিক তৈরি করছেন, শুধু মাত্র প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচনের জন্য।স্থানীয় সাংবাদিক ও এনটিভির অনলাইন প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান ফিলিপস বলেন, অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ করা জরুরি। নইলে সত্য সংবাদ জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ।সরেজমিন বিভিন্ন দফতর প্রধানদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভুঁইফোড় সাংবাদিকরা ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জিম্মি করে রাখছে। এসব পত্রিকার কোনো অনুমোদন নেই, তবুও ভয়ের কারণে অনেকেই তাদের চাহিদা মেটাতে বাধ্য হচ্ছেন।সচেতন মহল মনে করছেন, প্রকৃত সাংবাদিকতা রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন :