নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আওয়ামীলীগের আমলে খেয়েছি বর্তমানেও খাব টাকা আছে যার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস তার আবু সাইঙ্গ মৃধা। রাজধানীর শ্যামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতিকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা ধরনের অন্যায়-অনিয়মের বিতর্কের জন্ম দিয়ে কালো অধ্যায় সৃষ্টিকারীরাই আবার দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর নতুনরূপে বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বীরদর্পে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ যেন তাদের অব্যাহত অপকর্ম চালিয়ে যেতে নতুন বোতলে পুরোনো মদের কৌশল অবলম্বন করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমের নাম ভাঙ্গিয়ে শ্যামপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. মফিজ উদ্দিন মুন্সি এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন সাধারণ দলিল লেখকদের হয়রানি, সেবাপ্রত্যাশীদের জিম্মি করে জমির দলিলে সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা আদায়, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ভূমি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক দুর্নীতিসহ বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম বরত। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শ্যামপুর সাব-রেজিস্ট্রি আওয়ামী লীগ সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে যান। সমিতির বিতর্কিতরাও আত্মগোপনে চলে যান। আওয়ামী লীগের শাসনামলে মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেন বেপরোয়াভাবে অন্যায়- অপকর্ম করায় সাধারণ দলিল লেখকরা তাদের বিরুদ্ধে অতিষ্ঠ ছিল। এবনথায় সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের জিম্মিদশায় ছিলেন সাধারণ দলিল লেখকরা। কিন্তু তাদের সন্ত্রাসী আচরণে তখন কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি। দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে নতুন করে আশার আলো ত শুরু করেন সাধারণ দলিল লেখকরা। একপর্যায়ে শান্তিপ্রিয় সাধারণ দলিল লেখকদের চাপেরমুখে গত ২৭ আগস্ট সমিতির বিতর্কিত সভাপতি মো. মফিজ উদ্দিন মুলি এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এর কয়েকদিন পর ফের মাথাচারা দিয়ে উঠে নানা অপকর্মের হোতা পদত্যাগকারী মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেনসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। ১ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে আওয়ামী লীগ নয়, এবার বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে আগের মতো মূর্তিমান আতপ্ত রূপ ধারণ করে সাধারুণ দলিল লেখকদের জিম্মিদশায় রেখে মফিজ উদ্দিন মুন্সি ও ফারুক হোসেন শ্যামপুর দলিল লেখক সমিতির দন্ডমুন্ডের কর্তা হিসেবে নিজেদের জাহির করে বেড়াচ্ছেন। এবং সাধারণ দলিল লেখকদের মারধর, হত্যার হুমকি, অনেকের বসার সিট বাতিল, নির্ধারিত বাসার স্থানের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর চালিয়ে নতুনরূপে এই অপকর্মকারীরা আরেক বিতর্কের জ দেন। এরফলে শান্তিপ্রিয় সাধারণ দলিল লেখকদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাশাপাশি সাধারণ দলিল লেখকদের মধ্যে কেউ কেউ জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতার মাঝে বসবাস করছেন। এদিকে, শ্যামপুর সাব- রেজস্ট্রি অফিসের সাধারুণ দলিল লেখকদের প্রাণের দাবি- আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বহুল বিতর্কিত মফিজ উদ্দিন মুদি, ফারুক হোসেনসহ তাদের অপকর্মের সহযোগীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীল বর্মকর্তাদের আশু দৃষ্টি কানন্য করেছেন। একইসঙ্গে তারা বিতর্কিতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের টাকা এবং ক্ষমতা দুটোই আছে। আওয়ামীলীগের আমলেও খেয়েছি বর্তমানেও খাব টাকা আছে যার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস তার। দলিল লেখক এর সভাপতি মফিজ উদ্দিন মুন্সি এক বিশাল পারিবারিক সিন্ডিকেট তৈরি করে রেখেছে শ্যামপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ১ । মফিজ উদ্দিন মুলি ২। মুজিবুর রহমান মুন্সি চাচা ৩। সাগর, চাচাত ভাই ৪। মতিন, চাচার সহকারী ৫। মোশাররফ, বোন জামাই ৬। রাজ্জাক মূলি, চাচাত ভাই ৭। রুবেল, ভাগিনা ৮। ইভানা, শালি ১। শিমু, শালি।
আপনার মতামত লিখুন :