ঢাকা সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫
কে.এম. হাছান: অতিবৃষ্টির কারনে চাঁদপুরে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খাল বিল নদী নালায় পেশাদার জেলেদের পাশাপাশি সৌখিন মানুষরাও মাছ ধরার মহোৎসবে মেতে উঠেছে। আর বিলে ঝিলে খালে পাওয়া মাছ মূলত অনেক চাষকৃত পুকুরের মাছ বানের জলে ভেসে আসার ফল। ২১ আগষ্ট বুধবার দিনব্যাপী জেলার ফরিদগঞ্জের রুপসা,খাজুরিয়া, আষ্টা মহামায়া, কামতা গল্লাক, চান্দ্রাসহ আশপাশের গ্রাম গঞ্জ ঘুরে মানুষের মাছ ধরার মনমুগ্ধকর তৃপ্তিময় দৃশ্য দেখা যায়। ছগির নামের এক জেলে জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে আশপাশের ডোবা নালা খাল বিলে চাষকৃত পুকুর ও ঝিলের মাছ চলে গিয়েছে। অনেক মৎস্য চাষী পুকুরের চারপাশে বেড়া জাল দিয়েও তাদের মাছের পোনার শেষ রক্ষা করতে পারেননি। আর এটাই কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ হিসেবে দেখা দিয়েছে। সে কারনেই পেশাদার জেলে হতে শুরু করে এলাকার সকল বয়সি মানুষ ও সৌখিন মৎস্য শিকারীরা বিভিন্ন দেশীয় পদ্ধতিতে ডোবা নালা খাল বিলে ঝিলে মাছ শিকারে নেমে পড়েছেন। সরজমিনে দেখা যায়, মাছ শিকারে ঝাকি জাল, বেল জাল, ঠেলা জাল, ওচা ব্যবহার হচ্ছে। আবার সৌখিন মৎস্য শিকারীরা খালের উপরের পুলের উপরে সারিবদ্ধ হয়ে বসে ফ্লোডীং ছিপ এবং কল বর্শি দিয়েও মাছ শিকার করছেন। ষাটোর্ধ বয়সী ফয়েজ আহমদ বলেন, জালে এবং বর্শিতে পার্শবর্তী পুকুরের বের হওয়া জিওল মাছ, রুই কাতলার পোনা, তেলাপিয়া, ছোট পুঁটি, খলসে জাতীয় মাছই বেশি ধরা পড়ছে। খাজুরিয়া এলাকার পেশাদার মৎস্য চাষী আবুল কাশেম ভুইয়া বলেন, এ বছর তিনি ৪টি পুকুরে ছয় লক্ষ টাকার বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ফেলেছিলেন। এই ক’দিনের বৃষ্টিতে তার কোন পুকুরেই একটি পোনাও নেই। কান্না জড়িত কন্ঠে কাশেম বলেন, আমি এখন রাস্তার ফকির হয়ে গেছি। কামতা বাজারের মৎস্য চাষী সোহেল আহমেদ বলেন, টানা বৃষ্টিতে আমারও ৩টি পুকুর হতে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মাছের ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীরা উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাচ্ছি। এ বিষয়ে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, আমাদের কাছে ক্ষতিগ্রস্থতা আসলে আমরা অবশ্যই পরামর্শ সহযোগিতা দিয়ে তাদের পাশে থাকবো।
আপনার মতামত লিখুন :