ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫
শুভ সাহা,বিশেষ প্রতিনিধি: ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল জেলার আওতাধীন মির্জাপুর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত গোড়াই-সখিপুর সড়কের বংশাই নদীর ওপর নির্মিত হাটুভাঙ্গা ব্রিজের টোল আদায় বন্ধের দাবিতে টোল প্লাজায় দু’দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে।সরজমিনে জানাগেছে,টোল অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে।
প্রশ্নউঠে,সম্পূর্ন অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মকর্তা,সিনথিয়া আজমেরী খান।
তিনি জানান,সরকারী নিয়মনীতি মেনে চলমান আগামী ৩ বছরের জন্য টোল আদায় প্রসঙ্গে ব্রিজের ইজারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে এস কে ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টোল আদায় করে থাকেন বলে তথ্য সূত্রে উল্লেখিত আছে।
সরজমিনে ঘুরে আরও
জানাগেছে,১৯৯৬ সালে মির্জাপুর ও সখিপুর উপজেলাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিগতদিনে আওয়ামীলীগ সরকার গোড়াই-সখিপুর সড়কের বংশাই নদীর হাটুভাঙ্গা এলাকায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
২০০১ সালে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। মির্জাপুর উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল ও সখিপুর উপজেলার বাসিন্দা ছাড়াও দেশের উল্লেখযোগ্য উত্তরাঞ্চলের আওতায় ময়মনসিংহ,শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রোকোনা সহ কয়েকটি জেলার যানবাহন এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করে থাকে।
সরকার ব্রিজটি চালুর পর থেকেই টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাধ্যমে টোল আদায়ের জন্য ইজারা পদ্ধতি চালু করেন। এরপর থেকে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে প্রতি বছর সর্বোচ্চ দর দাতাকে ইজারাদার নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।
সিনথিয়া আজমেরী খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান,২০২২-২০২৩ সালে ওপেন টেন্ডারের আগামী তিন বছরের (১০৯৬ দিন) জন্য সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে এস কে ইন্টারন্যাশনাল নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো.কবির হোসেন সিকদার ব্রিজের ইজারাদার নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি যানবাহনের ধরন বেধে সরকার নির্ধারিত হারে যানবাহন থেকে টোল আদায় করে থাকেন।
ব্রিজের ইজারাদার প্রতিষ্ঠান এস কে ইন্টারন্যাশনালের
স্বত্বাধিকারী মো.কবির হোসেন সিকদার,এ হামলার ব্যাপারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় দৈনিক গণতদন্ত,
সাপ্তাহিক সামাল,
দৈনিক কলমযোদ্ধা(অনলাইন) এবং দৈনিক যুগের সংবাদ (অনলাইন)কে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জানান, সরকারী নিয়ম মেনে সর্বোচ্চ দর দাতা হিসেবে আগামী ৩ বছরের জন্য ব্রিজের ইজারা প্রাপ্তিতে সরকারীভাবে অনুমোদন পেয়েছি।
কবির সিকদার আরও জানান,সরকারী নির্ধারিত হারে যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়ে থাকে।
তিনি জানান,ট্রেইলার ১২৫ টাকা,হেভী ট্রাক ১০০ টাকা,মিডিয়াম ট্রাক ৫০ টাকা,বড় বাস ৪৫ টাকা,মিনি ট্রাক ৪০ টাকা,কৃষি কাজে ব্যবহৃত যান প্রতি পাড় ৩০ টাকা, মিনি বাস ২৫ টাকা, মাইক্রোবাস,প্রাইভেটকার
সহ ফোর হুইল চালিত যান ২০ টাকা,সিডান কার ১৫ টাকা ও ৩ চাকারযান,মোটরসাইকেল ৫ টাকা করে টোল আদায় করা হয়ে থাকে।
কিন্ত বিগত ৫ দিনে কিছু অপরিচিত লোকজন দু’দফায় দল বেধে ব্রিজে এসে টোল অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপকভাবে ভাংচুর করে প্রচুর পরিমাণ ক্ষতি সাধন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, এ বিষয়টি টাঙ্গাইল জেলা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং মির্জাপুরে সেনাবাহিনীর
দায়িত্বরত কর্মকর্তা মেজরকে অবগত করা হয়েছে।
এতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমেরী খান জানান,সরকার ব্রিজের টোল আদায়কে দেশের আয়ের পথ হিসেবে নিয়েছে।এ কাজে দেশ প্রেমিক প্রতিটি নাগরিককে টোল আদায়ে সহযোগিতা এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে দুষ্কৃতিদের খুজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহবান জানানো হয়েছে বলে তথ্য সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :