ঢাকা রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫
লালমনিরহাটে তিস্তার পানিতে ভেসে আসা দুই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মাধ্যমে ভারতীয় পুলিশের কাছে ফেরত দিয়েছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
গত শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাতে দুই পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের চওড়াটারী সীমান্ত দিয়ে দুই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে সদর থানার ওসি ওমর ফারুক ও ভারতের পক্ষে দিনহাটা পুলিশ ক্যম্পের ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর রাজেন্দ্র তামাংসহ বিএসএফ গিতলদাহ ক্যাম্পের অ্যাসিসট্যান্ট কমান্ড্যান্ট পাপ্পু মিনা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার(৬ অক্টোবর) সকালে ও বৃহস্পতিবার(৫ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি ও হরিনচওড়া এলাকা থেকে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে স্থানীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় মাধ্যমে জানা যায়, প্রবল বর্ষণে ভারতের সিকিমে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসে তিস্তা নদীর পানি। ফলে লালমনিরহাটে তিস্তা অববাহিকায় বন্যা দেখা দেয়। বুধবার রাতে বন্যা হলেও বৃহস্পতিবার সকালে পানি কমে যায় তিস্তা নদীতে। কম পানিতে মাছ ধরতে নেমে স্থানীয়রা হরিনচওড়া গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়।
পরদিন শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা কালমাটি ঘাট এলাকায় তিস্তা নদীর চরে কাজে গিয়ে একটি মরদেহ দেখে পুলিশ খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুই মৃত দেহ ভারতীয় বলে নিশ্চিত করলে উভয় সীমান্ত বাহিনী পতাকা বৈঠকের আহবান করে। পরে পতাকা বৈঠকে মরদেহ ভারতীয় বলে নিশ্চিত হলে ভারতীয় পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে সদর থানা পুলিশ।
অপরদিকে শুক্রবার(৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না চরে তিস্তা নদী থেকে অজ্ঞাত অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। তবে এ মরদেহটি ভারতীয় কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, অজ্ঞাত দুই মরদেহ ময়নাতদন্ত করে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ভারতীয় বলে নিশ্চিত হলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :