মোস্তাকিম রহমান, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যমুনা নদীর চরের কাশবনের ভিতর থেকে ১২টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে সাঘাটা থানার পুলিশ। শনিবার (০৮ জুন)দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুলাহ্ আল মামুন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান। ব্রিফিংয়ে বলা হয়,গত ০৭ শুক্রবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ দিকে সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাঘাটা থানাধীন ০৩নং সাঘাটা ইউনিয়নের দক্ষিন সাথালিয়া বুগার পটল যমুনা নদীর চরে কাশবনের ভিতর চোরেরা গরু চুরি করে আনিয়া রাখিয়াছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেনের নির্দেশনা মোতাবেক সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হকের নেত্বত্বে থানার অফিসার ও ফোর্স এবং স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে যমুনা নদীর চরের কাশবনের ভিতরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত চরের কাশবনের ভিতরে কাশবন দ্বারা তৈরী ছাপড়ার ভিতরে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা চোর ও চোরাই গরু দেখিতে পায়। চোরেরা পুলিশের উপস্থিতি টের পাইলে তাহারা দৌড়াইয়া কাশবনের ভিতর দিয়ে পালাইয়া যায়। এসময় ঘটনাস্থল হইতে ছোট বড় ১২টি গরু উদ্ধার পূর্বক জব্দ করিলে জব্দকৃত গরু গুলির মধ্য হইতে ০৪টি গরু সাঘাটা থানাধীন ০৬নং ঘুরিদহ ইউনিয়নের যাদুর তাইড় গ্রামের জনৈক মোহাম্মদ শফিউর রহমান (৩৮), পিতা-মৃত পামোচা শেখ, সাং-যাদুরতাইড়, থানা-সাঘাটা, জেলা-গাইবান্ধা নিজের বলিয়া সনাক্ত করেন। উক্ত ০৪টি গরুর বিষয়ে গরুর মালিক মোহাম্মদ শফিউর রহমান বাদী হইয়া অত্র থানায় এজাহার দাখিল করিলে সাঘাটা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হইয়াছে। এছাড়াও অবশিষ্ট ০৮টি গরুর মালিক এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নাই। এ বিষয়ে সাঘাটা থানার সীমান্তবর্তী থানা সমূহে বেতার বার্তা প্রেরণ করা হইয়াছে। প্রকৃত মালিক পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
আপনার মতামত লিখুন :