উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ: নওগাঁর বদলগাছীতে সাদিহা খানম তন্নী (২২) নামে এক গৃহবধূর ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। উপজেলার ভাণ্ডারপুর বাজারে ভাড়া বাসায় গ্রিলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল মরদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ রোববার (২ জুন) দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গৃহবধূ তন্নীর পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানির কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে স্থানীয়রা ধারণা করছে। মৃত সাদিহা খানম তন্নী বদলগাছীর কোলা ইউপির ভাণ্ডারপুর গ্রামের নুর আলম রিংকুর স্ত্রী এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার বিহারপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে বলে জানা গেছে। থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী নুর আলম সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে অর্থ রোজগার করতে বিদেশে পাড়ি জমান। স্বামী বিদেশ যাওয়ার কিছুদিন পর স্ত্রী তন্নী শ্বশুরবাড়ি না থেকে ভাণ্ডারপুর বাজারে রাজুর তিন তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন এবং সেখানে দুই-তিন বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে থাকা শুরু করেন। এরই মধ্যে জড়িয়ে যান অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে স্ত্রী তন্নী জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়। এ ছাড়া ভাড়া নেওয়া বাসায় ছিল পরপুরুষের নিয়মিত যাতায়াত। গত চার মাস আগে নুর আলম দেশে ফিরে আসেন। এরপর স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী পরকীয়া করেন এবং তাঁর স্ত্রীর ফ্ল্যাটে পর পুরুষের যাতায়াত ছিল। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিভিন্নজনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। এসব জানার পর স্বামী স্ত্রীর-মাঝে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে। প্রায়ই এই বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। তাই স্ত্রীর মোবাইল ফোনটি নিতে চাইলে তা স্বামীকে দিতে অস্বীকার করেন তন্নী। গতকাল নানি শাশুড়ির জানাজা শেষে বাসায় ফিরে এ নিয়ে আবারও মনোমালিন্য শুরু হয়। রাত ১০টায় যে যার মতো রাতের খাবার খেয়ে আলাদা রুমে ঘুমান। রাত আড়াইটার দিকে স্বামী নুর আলমের ঘুম ভেঙ্গে গেলে বেলকনিতে আসেন। সেখানে দেখতে পান তন্নী বেলকুনির গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছেন। ঘটনাটি দেখে চিৎকার ও ডাকাডাকি করলে বাসার ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে উপপরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে এসে উদ্ধার করেন।
আপনার মতামত লিখুন :