ঢাকা সোমবার ৬ অক্টোবর, ২০২৫
মোস্তাকিম রহমান গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের মাঠের হাট শ্মশান চৌকিদারের ঘাট নামক এলাকার ধান ক্ষেত থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল হোসেন (২৩) নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালের দিকে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের মাঠের হাট শ্মশান চৌকিদারের ঘাট নামক এলাকার ধান ক্ষেত থেকে গলাকাটাসহ গোটা শরীরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় । আউয়াল হোসেন নামের যুবক সে গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বর্মতত গ্রামের হাফিজার রহমানের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার মাঠেরহাটের চৌরাস্তা মোড়ে মোবাইল ব্যাংকিং ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করে আসছিল। এঘটনায় সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাকৃতরা হলেন- মো. জাকির হোসেন, মো. জুয়েল মিয়া, মো. রাসেল মিয়া, মো. লিটন মিয়া ও মো. খলিল মিয়া। নিহতের স্বজনরা জানান , বুধবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে তার দোকানের উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপরে গভীর রাত পর্যন্ত আব্দুল আউয়াল দোকান হতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজা খুজি শুরু করে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালের দিকে সুন্দরগন্ঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের মাঠের হাট শ্মশান চৌকিদারের ঘাট নামক এলাকার ধান ধানক্ষেতে সেচ মোটরের পানি দিতে গিয়ে স্থানীয় একজন কৃষক মরদেহটি ধানক্ষেতে পরে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। স্থানীয়রা ছুটে এসে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের পিতা মো. হাফিজার রহমান জানান, প্রতিদিন রাত ১১টা হতে ১২টার মধ্যে বাড়িতে আসে সে। বুধবার রাত ২টা পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় দোকানে খুঁজতে গিয়ে দেখি দোকান এবং তার নিকট থাকা সকল মোবাইল ফোন বন্ধ। সারারাত খোঁজার পর সকালে তার লাশ পাই। তিনি তার সন্তানের হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম রানা বলেন, আউয়াল নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :