মোঃ মিনারুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা বুড়িগন্জ এলাকার সন্ত্রাসী আব্দুর হাকিম ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। করছে একের পর এক অপকর্ম, মারধর ও লুটপাট। প্রতিনিয়ত এলাকার দোকান্দার সহ নিরিহ মানুষের সাথে ঝগড়া বিবাদ, মারপিট করা সহ শিবগঞ্জে একাধীক অপকর্মের সাথে জড়িত আছে হাকিম সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খোলতে সাহস পাচ্ছেনা। পুনরায় কেমিক্যাল নিয়ে অহেতুক এক ব্যবসায়ী আব্দুর রউফকে গালাগালী ও মারধর ও দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, আসামী আব্দুর হাকিম এর সাথে কেমিক্যাল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় বুধবার দুপুুরে আনুমানিক ১,২০ মিনিটে,এমতাবস্থায়১৩/০৩/২০২৪ ইং সন্ধ্যায় ৭/২৫ মিনিটে মোড়াইল ত্রিমোহনী বাজার এলাকায় তার দোকানের ভিতরে আসামী আব্দুর হাকিম এসে ব্যবসায়ী আব্দুর রউফ কে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। গালাগালীতে প্রতিবাদ করলে আব্দুর হাকিম ক্ষিপ্ত হয়ে রউফ এর দোকানে ডুকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে থাকে। এসময় তার দোকানে বসে থাকা আমজাদ হোসেন (৫৫), ওবায়দুল ইসলাম (৩৫) ও হামিদুল ইসলাম। বাঁচাতে আসলে তাদের কেও মারধর করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরে তার সাথে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসী সাঙ্গপাঙ্গরা দাও, লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় বলে থানায় দেয়া অভিযোগে দাবী করা হয়। এতে আব্দুর রউফ সহ বেশ কয়েকজন মারাত্নক ভাবে আহত হয়েছে। মারপিট চলাকালীন একপর্যায়ে হাকিমের অন্যান্য সন্ত্রাসীরা দোকানের বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় দোকানের মালামাল ও ক্যাশে থাকা নগদ টাকা লুট করে নেয় বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় আশরাফুল,পলাশ মিয়া, সহ এলাকাবাসী ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। স্থানীয় ইউপি মেম্বার মেহেদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে সময় উপস্থিত ছিলেন। কিন্ত হাকিম সহ অন্যান্যরা বেপরোয়া ভাবে মেম্বার সহ উপস্থিও লোকজনের সম্মুখে রউফ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভয়ভীতি ও সুযোগ পেলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। শিবগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি জানান, একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। এস আই বেল্লাল কে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে৷
আপনার মতামত লিখুন :