ঢাকা শনিবার ২১শে জুন, ২০২৫
আফতাবুল আলম,রাজশাহীঃ
রাজশাহী-২ (সদর) আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি এবারও ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়েই ছোট যুদ্ধে নেমে পড়েছেন ভোটের মাঠে।এবার তার প্রতিদ্বন্ধি হয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও প্রবীন রাজনীতিবিদ অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। তিনি এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কাঁচি প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট করছেন।রাজশাহীর ভোটের মাঠে এখন আলোচনার শীর্ষে দুই বাদশা। সবার ধারণা, আসনটিতে এবার দুই বাদশার লড়াইটা এবার জমবে ভালো।অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা তিনি আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় দলটির কর্মী-সমর্থকেরা তার পক্ষে কাজ করছেন এবং তারা কাঁচি প্রতিকে ভোট দেবেন ও সাধারণ ভোটারদের কাঁচি প্রতিকে ভোট দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী সমর্থকরা উৎসাহিত করছেন লিফলেট বিতরণ করছেন। এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের অলি গলি রাস্তা ঘাট সব জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার ফেষ্টুন ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো রাজশাহী শহরের এমন কোন জায়গা নাই যেখানে কাঁচি প্রতিকের পোষ্টার ফেষ্টুন ব্যানার নেই। খেলা হবে খেলা হবে ৭তারিখে খেলা হবে কাঁচি প্রতিকের খেলা হবে এই স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত রাজশাহী সদর- ২ আসন ।অপরদিকে ফজলে হোসেন বাদশার নৌকা প্রতীকের পোষ্টার ফেষ্টুন ব্যানার তেমন চোখে না পড়লেও মাইকে মাইকে স্লোগান শোনা যাচ্ছে ফজলে হোসেন বাদশা ভাই ভালো লোক তাই এবার সবাই দেবে নৌকায় ভোট উন্নয়নের জোয়ারে নৌকা এবার যাবে জিতে । রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের সময় মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের পোষ্টার ফেষ্টুন ব্যানারে রাজশাহী শহর ছেয়ে গিয়েছিল ঠিক তেমনি ভাবে শফিকুর রহমান বাদশার কাঁচি প্রতিকে ছেয়ে গেছে। তাই সাধারণ ভোটারদের ধারণা এ আসনের মানুষ এবার কাঁচি প্রতীকে ভোট দেবেন । আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরাও এই ধারণা পোষণ করছেন।কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন দীর্ঘ ১৫টি বছর এই আসনে আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী ছিল না কিন্তু এবার আওয়ামী লীগের রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক মহাম্মদ আলী কামাল কে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার পর আবার সে মনোনয়ন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা কে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেওয়া হয় তাই আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা দলীয় প্রার্থী চাই ।
এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনের সময় স্লোগান ছিল ‘উন্নয়ন হয়েছে দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান’। মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের এই স্লোগানকে নিয়েই নির্বাচনে নেমেছি বলে জানান শফিকুর রহমান বাদশা। নগর আওয়ামী লীগের ভোট তার ঘরেই আসবে তিনি আরোও বলেন সাধারণ ভোটারদের গনজোয়ার বলে দেয় এবার কাঁচি প্রতিকের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবেনা । তিনি আরো বলেন ৭ তারিখ সারাদিন কাঁচি মার্কায় ভোট দিন।
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শুরুতে ফজলে হোসেন বাদশা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের নির্বাচনের আহ্বান গ্রহণ করছেন। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে বোঝা যায় যে তাদের সমর্থনটা কোন দিকে আছে। পরিবেশ স্বাভাবিক। এখানে কোনো রকম জবরদস্তিমূলক বলা ভয়ভীতির কিছ নেই বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মার্কা নৌকা তাই নৌকা প্রতীকে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিয়ে নৌকা কে বিজয়ী করবে ।
ভোটে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, গত ১৫ বছর ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী রাজশাহী সদর আসনে ছিলেন। তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। উন্নয়নের ক্ষেত্রে মেয়রের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাজের সমন্বয় থাকা দরকার ছিল। কিন্তু সেটাও ছিল না
ভোটে জয়ের এর বিষয়ে দুই বাদশা আত্নবিশ্বাসী শেষ পর্যন্ত বিজয়ের শেষ হাসি কে হাসবে ফজলে হোসেন বাদশা না অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুর রহমান বাদশা ৭ তারিখে জনগণের রায় বলে দেবে।
এ আসনে এবার মোট সাতজন প্রার্থী রয়েছেন। দুই বাদশা ছাড়াও প্রার্থী রয়েছেন জাসদের আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী (মশাল), জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল), বিএনএমের কামরুল হাসান (নোঙর), মুক্তিজোটের ইয়াসির আলিফ বিন হাবিব (ছড়ি) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মারুফ শাহরিয়ার (ডাব)
আপনার মতামত লিখুন :