ঢাকা মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫
রংপুরে অবরোধের মধ্যেই চলছে হরতাল, বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ, পিকেটিং । রংপুর মহানগরী এবং জেলায় বিএনপি এবং সমমনা দলগুলোর ষষ্ঠ দফা অবরোধের প্রথম দিনে সকাল-সন্ধ্যার হরতাল পালন হচ্ছে। বুধবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু ও মাহফুজ উন নবীডনসহ যুবদলের ৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কারাদন্ডাদেশের প্রতিবাদে সকাল-সন্ধ্যা এই হরতাল পালন করছে। হরতালের সমর্থনে নগরী ছাড়াও, মিঠাপুকুর, গঙ্গাচড়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করছে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মৎস্যজীবীদলের নেতাকর্মীরা। অনেক স্থানে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করেছে তারা। রাতে নগরীতে হয়েছে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ। সোমবার রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক কৃষ্ণকান্ড রায় ২০১৩ সালের ১৯ মে দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আলম নয়নসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ১০ বছর করে কারাদন্ডাদেশ দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম পৃথক ভিডিও বার্তায় এই হরতালের ঘোষণা দেন। সোমবার দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক কৃষ্ণকান্ত রায় এই আদেশ দেন। রায়ের অন্য আসামিরা হলেন জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি তারেক হাসান সোহাগ ও যুবদল কর্মী আরিফ হোসেন। রায়ে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। মামলায় অন্য দুই আসামি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক ঝন্টুকে মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এদিকে হরতাল ও ৬ষ্ঠ দফা অবরোধের প্রথম দিনে রংপুর মহানগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ট, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ বিভাগের বাস টার্মিনালগুলোতে থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। শুধু দূরপাল্লাই নয়, জেলা ও আন্ত:জেলা বাস মিনিবাসও চলছে না। তবে নগরীতে দোকান পাট খোলা আছে। স্বাভাবিক আছে ট্রেন চলাচল। এদিকে মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়াও রেঞ্জের আট জেলার সড়ক, মহাসড়কে সর্বেোচ্চ সতর্কতা পাহারা বসিয়েছে আইনশৃঙখলা বাহিনী। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, আন্দোলনের নামে কেউ নাশকতা কিংবা জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে চাইলে তাদের আমরা ছাড় দেবো না। পর্যাপ্ত আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী এজন্য পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়েছে। রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন জানিয়েছেন, হরতাল অবরোধের নামে যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে মাঠে সতর্ক অবস্থায় আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কেউ নাশকতা কিংবা জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে চাইলে আমরা কঠোরভাবে তা মোকাবেলা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :